সর্বশেষ আপডেট : ১৫ ঘন্টা আগে
সোমবার, ৬ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

যেসব কারণে এইচএসসিতে খারাপ ফল

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

চলতি বছরের (২০২৩) এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯০। গতবারের তুলনায় যা প্রায় ৮ শতাংশ কম। অন্যদিকে জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২১ জন। আর জিপিএ-৫ কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭টি। অন্যান্য কিছু সূচকেও নেতিবাচক ফল হয়েছে এবার। ফলাফলের এ অবনমনের কারণ খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।

শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রভাব থাকার পরও এইচএসসিতে সবগুলো বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা, ইংরেজিতে ব্যাপক দুর্বলতা, এবং করোনার সময়ের স্টাডি গ্যাপ এবার ফলাফলে ফেলেছে। এছাড়া, এ ব্যাচটি প্রায় এক বছর ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস করেছে। এর প্রভাবও পড়তে পারে ফলাফলে।

শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এই ফলাফল স্বাভাবিকই আছে, খারাপ নয়। করোনার আগের বছরগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে পাসের হার সাধারণত ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশের ঘরেই ছিল। মাঝে ২০২১ ও ২০২২ শিক্ষাবর্ষে পাসের হার বেড়ে ৯০ শতাংশের বেশি হয়েছিল। এর কারণ ছিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে কম বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া। এ বছর আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে পরীক্ষায় ফেরায় ফলাফল ৮০ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে।

শিক্ষাবোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার যারা এইচএসসি পরীক্ষায় বসেছিল তারা ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছিল। করোনার সময় এই ব্যাচটির সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ায় ওই বছর পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। একাদশ শ্রেণির শুরুতে ২০২১ সালে তারা স্বাভাবিক ক্লাস করতে পারেনি, অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। যদিও ২০২২ সালে পুরো এক বছর তারা ক্লাস করেছে। তারপরও এক বছর করোনার কারণে যে সমস্যা হয়েছিল তার প্রভাব পড়েছে ফলাফলে।

করোনার সময়ের প্রভাব এখন পড়েছে

কারোনা মহামারির আগের ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯ সালে গড় পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ওই বছর কোনো পরীক্ষা হয়নি। সেবার অটোপাস দেওয়ায় শতভাগ পাস ছিল। ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ ভাগ। এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এবারের এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর এ চিত্র বলছে, করোনার আগে আর পরের বছরগুলোর ফলাফলের চিত্র কাছাকাছি।

পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমার ব্যাখ্যায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, করোনার আগের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখবেন পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটি এমনই ছিল। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হয়েছিল, তাই শিক্ষার্থীরা এক ধরনের সুবিধা পেয়েছিল। যেটা এবার ছিল না।

পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষার প্রভাব

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ এবং ২০২২ সালে পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হয়নি। ওই দুই বছর ৫০ শতাংশ এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে ৭৫ শতাংশ সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। সে কারণে ওই দুই বছর ফলাফল ছিল যথাক্রমে ৯৫ দশমিক ২৬ ও ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবারে সব বিষয়ে এবং পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে। এ জন্য গতবারের চেয়ে এবার পাসের ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যখন বিষয় কম, কম সময়ে পরীক্ষা হয়েছে তখন সবার প্রস্তুতি অনেক ভালো। আর এবার সব বিষয়ে হয়েছে, পূর্ণ সময়ে হয়েছে। জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে একটা ফারাক হতেই পারে। এটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। আসলে এবারের সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করতে হবে করোনা পূর্ববর্তী সময়ের সঙ্গে। সেই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে আগের চেয়ে ফলাফল আসলে একটু ভালো হয়েছে।

ইংরেজিতে খারাপ ফল

বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব বিভাগের কমন আটটি বিষয়— বাংলা, ইংরেজি, পদার্থ, রসায়ন, তথ্য ও প্রযুক্তি, পৌরনীতি এবং হিসাব বিজ্ঞানে গড় পাসের হার ৯০ শতাংশের বেশি। বিপরীতে সাধারণ নয়টি শিক্ষাবোর্ডে ইংরেজিতে গড় পাস করেছে মাত্র ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এটাও সার্বিক ফলাফল খারাপের একটি কারণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: